MYOPIC VISION (স্বল্প দৃষ্টি )

মায়োপিক দৃষ্টি একটি অসুস্থতা। নিত্য কম্পিউটার ও দুরালাপনি ব্যবহার ও নানা ভুলের কারণে আমাদের দেশ সহ সমগ্র পৃথিবীতে এই রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।মায়োপিয়া হল একটি মেডিকেল শব্দ যা স্বল্প দৃষ্টিশক্তি এবং কাছাকাছি দৃষ্টিশক্তি বর্ণনা করতে ব্যবহৃত হয়। এটি শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ক উভয়ই ঘটে। বিশ্বের 30% মানুষ মায়োপিক দৃষ্টিতে ভুগছে (তথ্য:ইন্টারন্যাশনাল মায়োপিয়া ইনস্টিটিউট)।
যারা এই সমস্যায় ভুগছেন তারা দূরের বস্তু বা মানুষ দেখতে পাচ্ছেন না বা দেখতে সমস্যা হয়ে থাকে।মায়োপিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের দূরের বস্তুটি কিছুটা ঝাপসা দেখায় কিন্তু যত  তারা কাছাকাছি আসে, তারা তত পরিষ্কার দেখতে পান । চোখের বলটি খুব দীর্ঘ হলে বা কর্নিয়া খুব বাঁকা হলে এটি ঘটে। এর কারণে চোখে আলো প্রবেশ বাঁধাগ্রস্ত হয় ফলে সঠিকভাবে ফোকাস হয় না।
লক্ষণ:

রোগীর লক্ষণগুলো হলো-
        °দূরের বস্তুতে ঝাপসা দৃষ্টি
         °চোখের চাপের কারণে মাথাব্যথা (চোখ ব্যথা করে এবং ক্লান্ত বোধ করে)
         ° প্রচুর পরিমাণে চোখ ঘষা 
         ° চোখে প্রচুর চুলকায় 
          ° দূরের বস্তু দেখতে চোখ হতে পানি পরে 
কিছু জটিল পরিস্থিতিগত সংকট যেমন ডায়াবেটিস, গর্ভাবস্থা এবং কিছু ওষুধ যেমন হাইড্রোক্লোরোথিয়াজাইড(HYDROCHLOROTHIAZIDE) এবং টপিরামেট(TOPIRAMATE)মায়োপিয়ার জন্য দায়ী। এছাড়াও অতিরিক্ত মোবাইল ও কম্পিউটার স্ক্রিণের আলো ও তাদের রেডিশণের জন্যও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

উচ্চ মায়োপিয়ার ঝুঁকি হল-
• গ্লুকোমা(অপটিক স্নায়ু নষ্ট হয়ে দৃষ্টি শক্তি লোপ পায়) 
• ছানি
• রেটিনা বিচ্ছিন্নতা
•MYOPIC MACULAR DEGENERATION(চোখের বল দীর্ঘায়িত হওয়া)
ছোটখাটো উপদ্রব যেমন চশমা, কন্টাক্ট লেন্স বা সার্জারির মাধ্যমে সংশোধন করা যায়। কিন্তু কিছুক্ষেত্রে ডিজেনারেটিভ মায়োপিয়া বিকশিত হয় যা খুব গুরুত্বর এবং সারাজীবনের জন্য অন্ধত্বের কারণ হতে পারে।


ডিজেনারেটিভ মায়োপিয়ায় পৃথিবীর ২%জনসংখ্যা অর্থাৎ প্রায় ১৪ কোটি মানুষ ভুগে। এই মায়োপিয়া ছোট বাচ্চারা আরোগ্য লাভ করলেও বড়োরা করতে পারে না।এজন্য ANTI VEGF Therapy প্রয়োজন।
উচ্চ মায়োপিয়ার জন্য PHAKIC INTRAOCULAR LENS স্থাপন করতে খুবই কার্যকর হয়।
অ্যান্টি-ভেজিএফ থেরাপি(ANTI VEGF THERAPY):
অ্যান্টি-ভাস্কুলার এন্ডোথেলিয়াল গ্রোথ ফ্যাক্টর মায়োপিক ম্যাকুলা নিওভাসকুলারাইজেশনের দৃষ্টি জটিলতা উন্নত করে। অনেক গবেষণায় MYOPIC CNV চিকিৎসায় ইন্ট্রাভিট্রিয়াল অ্যান্টি ভিইজিএফ (INTRAVITREAL Anti VEGF)এজেন্টের কার্যকারিতা দেখা গেছে।

প্রতিকার ও প্রতিরোধ :
শুধুমাত্র মানুষের সচেতনতা এবং সেইসাথে অভিভাবকদের সতর্কতায় মায়োপিয়ার সংখ্যা কমাতে পারে। আমরা যদি আমাদের চোখ এবং আমাদের বাচ্চাদের চোখের প্রতি যত্নবান হই এবং যত্ন নিই তাহলে আমরা এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারি।
সেজন্য অপ্রয়োজনে মোবাইল ব্যবহার কমাতে হবে, স্ক্রিনে অনেকক্ষণ একদৃষ্টিতে না তাকিয়ে কিছুক্ষন পর পর চোখের হালকা ব্যায়াম বা চোখপানি দিয়ে ধুয়ে সতেজ রাখতে পারি, ঘুমানোর আগে ও ঠিক ঘুম থেকে উঠেই মোবাইল ব্যবহার করা বিরত থাকতে পারি,সবুজ পাতা ও নীল আকাশের দিকে খানিকক্ষণ তাকিয়ে থাকা চোখ ও মনের জন্য অনেক উত্তম। ভিটামিন A সমৃদ্ধ ফল-সবজি চোখ রোগ মুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
আধুনিক জীবনের প্রধান সমস্যা আমরা ইলেকট্রনিক ডিভাইস অনেক বেশি ব্যবহার করছি। আর আমরা আমাদের চোখে অনেক চাপ দিই। তার জন্য আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলি ব্যাহত হচ্ছে। একটু সচেতনতাই পারে আমাদের দীর্ঘকষ্ট থেকে মুক্ত রাখতে।
তথ্য: গুগল+উইকিপিডিয়া

ছবি: গুগল
MD. SHAKIBUL ALAM
Publicity Secretary
BSMRSTU Science Club