ভোর পাঁচটায় এলার্মের শব্দে নীলের ঘুম ভেঙ্গে গেল। এরপর ফ্রেশ হয়ে মর্নিং ওয়াকে বের হয়। সকাল নয়টায় তার অফিস। নীল আইটি ফার্মের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। এছাড়া নীলের একটি নিজস্ব গবেষণাগার আছে। রাতে এখানে গবেষণায় ব্যস্ত থাকেন। তিনি এখানে আর্টিফিশিয়াল সুপার ইন্টেলিজেন্স নিয়ে গবেষণা করেন। তার উদ্দেশ্য মানব মস্তিষ্ক যে উপায়ে কাজ করে তার নকল করে কৃত্রিম মানব মস্তিষ্ক তৈরি করা।ড. টমাস হলেন তার শিক্ষক। ড. টমাসের অধীনে তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে পিএইচডি করছেন।

ড. টমাসের জন্মদিনের পার্টিতে নীলের সাথে ইভার প্রথম পরিচয় হয়। ইভা এমআইটিতে রোবটিক্স নিয়ে গবেষণা করছেন। আস্তে আস্তে নীল আর ইভার মধ্যে পরিচিতি বাড়তে থাকে। তারা যখন সময় পান তখন একে অপরের সাথে দেখা করে তাদের গবেষণার বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করেন। তাদের উভয়ের উদ্দেশ্য হলো মানব সভ্যতাকে উন্নতির চরম শিখরে নিয়ে যাওয়া। নীল নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছে কৃত্রিম মানব মস্তিষ্ক তৈরি করার জন্য। দীর্ঘ বছর গবেষণা করার পর নীল অবশেষে সফল হন। নীল আবিষ্কার করেন কৃত্রিম মানব মস্তিষ্ক "নিউরাল-21"। এই নিউরাল 21 হলো আর্টিফিশিয়াল সুপার ইন্টেলিজেন্স এর যুগান্তকারী প্রতিফলন। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন অনেকগুলো মাইক্রোপ্রসেসর ও চিপ ব্যবহার করে প্রোগ্রামিং এর মাধ্যমে এটি তৈরি করা হয়েছে। নীলের এই আবিষ্কার দেখে সব বিজ্ঞানীরা অবাক হয়ে যান। কারন সকল বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদদের নিকট এটি একটি কল্পনীয় বিষয়।

বিজ্ঞানীরা এখন কাজ করছেন কৃত্রিম বুদ্ধমত্তার প্রথম ধাপ অর্থাৎ অর্টিফিশিয়াল ন্যারো ইন্টেলিজেন্স নিয়ে। আর সেখানে নীল আর্টিফিশিয়াল সুপার ইন্টেলিজেন্স এর প্রয়োগিক রূপ নিউরাল 21 আবিষ্কার করেছেন। নীলের উদ্দেশ্য নিউরাল 21 কে রোবট এর মধ্যে স্থাপন করে বাস্তব রূপ প্রদান করা। ড. টমাস তাকে রোবটের মধ্যে এটি স্থাপন করতে নিষেধ করেন। কিন্তু এটিকে রোবটের মধ্যে স্থাপন করার জন্য অনেক দৃঢ় থাকেন। তিনি এই কাজটি সম্পন্ন করার জন্য ইভার নিকটে সাহায্য চান। ইভা এবং তার ইউনিভার্সিটির অন্যান্য প্রফেসররা মিলে তাকে একটি রোবট তৈরি করে দেন। এটিকে প্লাস্টিক সার্জারি পদ্ধতির সাহায্যে মানুষের মতো গায়ের ত্বক ও মুখের অবয়ব তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। দেখে মনে হয় এটি হুবহু জীবন্ত মানুষ। নীল এই রোবটির ভিতরে সফলভাবে নিউরাল 21 স্থাপন করেন। আর রোবটটির নাম রাখা হয় "রোবো নিউরাল 21"। তাদের এই রোবটটিকে প্রথমে সামরিক বাহিনীতে ব্যবহার করার জন্য অনুমোদন পান।

রোবোনিউরাল 21 এর কার্যক্ষমতা দেখে সকলেই বিস্মিত হয়ে যান। এটি মানুষের চিন্তার তরঙ্গকে সহজে শনাক্ত করে মনেরভাব দ্রুত বুঝে নিতে পারে। যুদ্ধক্ষেত্রে এদের সুনিপূন কলাকৌশল দেখে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অনেক খুশি হন।
এজন্য নীল ও ইভাকে সরকার অনেক অর্থ প্রদান করেন। এখন সামরিক বাহিনীতে মানব সৈনিকের বদলে এই রোবট গুলোকে নিয়োগ নেওয়া হচ্ছে। শুধু সামরিক বাহিনীতে নয় সকল কর্মক্ষেত্রেই এই রোবো নিউরাল 21 এর চাহিদা বাড়তে থাকে। এখন নীল আর ইভাকে পরিশ্রম করে রোবট ও মাইক্রোপ্রসেসর তৈরি করা লাগেনা। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি দিয়ে দিলে এরা একে অপরকে সহজেই তৈরি করে নিতে পারে। দিন দিন রোবটগুলোর সংখ্যা অনেক বাড়তে থাকে।

এখন অফিস ও কলকারখানার শ্রমিকরা থাকছে ছুটিতে, আর অফিসের সকল কাজ সম্পন্ন করছে এই রোবটরা। মানুষের চেয়ে অনেকগুন বেশি কাজ নিখুঁতভাবে করতে পারে এরা। সাধারণ মানুষেরা ভাবছে আমাদের এখন সুখের দিন এসে গেছে। আমাদের আর পরিশ্রম করে কোনো কাজ করা লাগবেনা। সব কাজগুলোই রোবোটরা করে দিবে। আমরা শুধু আহার আর বিশ্রাম করবো। মানুষেকে মুখ দিয়ে এই রোবটদের কিছু বলা লাগেনা। মানুষের মনের তরঙ্গগুলোকে শনাক্ত করে এরা প্রয়োজনীয় কাজকর্মগুলো করে দেয়।

এখন গাড়ি চালাতে আর মানবশক্তির প্রয়োজন হয় না। এই নিউরাল 21 প্রসেসরটি গাড়ির ভিতর স্থাপন করলে গাড়ি নিজে নিজেই চলতে পারে।

মানুষ শুধু ভাববে যে, আমাকে অন্যত্র যেতে হবে ঠিক তখনই গাড়ি এসে তাকে গন্তব্যে পৌছে দেবে। আর জ্বালানির প্রয়োজন হলে নিজেরাই স্টেশন থেকে প্রয়োজন মতো জ্বালানি ভরে নেয়। এখন স্কুলের ছাত্রদের পড়াতে আর শিক্ষকদের দরকার হয়না। এই রোবটগুলোই শিক্ষকের ভূমিকা পালন করছে। এখন গবেষক, চিন্তাবিদ ও প্রযুক্তিবিদেরা তাদের গবেষণা মূলক কাজগুলো এদের দিয়ে করিয়ে নিচ্ছে। রোবটগুলোর সংখ্যা এখন অনেকগুন বেড়ে গেছে। সাধারণ মানুষেরা এদেরকে সস্তায় কিনতে শুরু করেছে। এই রোবট গুলো এখন গৃহের সকল কাজকর্ম থেকে শুরু করে জমিতে চাষাবাদ, ফসল ফলানো, গৃহনির্মান, রান্নাবান্না করা, রাস্তাঘাট পরিষ্কার সহ নানা কাজ করছে।

মানুষের ক্ষুধার অনুভূতি হলেই এরা বাজার থেকে চাহিদা মত খাবার নিয়ে এসে গালে তুলে খাইয়ে দেয়। মানুষ অসুস্থ হলে হাসপাতালে ডাক্তারের কাছে আর যাওয়া লাগেনা, রোবটরা বাসায় এসে চিকিৎসা করে সুস্থ করে তোলে। এখন বাড়িঘর, রাস্তা ঘাট, ব্রিজ ইত্যাদি নির্মান ও নকশা করতে প্রকৌশলীর প্রয়োজন হয়না। এই রোবটগুলোই মানুষের মনের মতো নকশা করে বাড়িঘর নির্মান করে দেয়। মানব সভ্যতা এখন দ্রুত গতিতেই এগিয়ে যাচ্ছে। চারিদিকে রোবটদের জয়োধ্বনি। এখন এটাকে মানব সভ্যতা না বলে বলা হচ্ছে "রোবট সভ্যতা"। রোবটগুলো যাবতীয় কাজকর্ম করে পৃথিবীকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে উন্নতির চরম শিখরে। কিছুদিনের মধ্যেই নীল ও ইভার বিবাহ হয়। বিবাহের সকল আয়োজনের দায়িত্বে থাকে রোবোটেরা। বিবাহের নিমন্ত্রন থেকে শুরু করে অতথি আপ্যায়ন, রান্নাবান্না সবকিছু এই রোবোনিউরাল 21 রাই সামাল দেয়। বিয়ের দুই বছর পর নীল ও ইভার কোল জুড়ে একটি সন্তান জন্ম নেয়। জন্মের পর থেকে রোবটগুলো সন্তানের দেখাশোনা করে। আর নীল ও ইভা তাদের নিজেদের কাজ নিয়ে সব সময় ব্যস্ত থাকেন। মানুষেরা এখন আরাম আয়েশে দিন কাটাচ্ছে। কোনো কিছু পেতে মানুষের এখন আর পরিশ্রম করতে হয়না। শুধু মনে মনে চিন্তা করলে এই রোবটগুলো এসে তাদের হুকুম পালন করে। এমনকি মানুষ নিজেদের জৈবিক চাহিদাগুলোকেও রোবটদের দিয়ে মেটাচ্ছে।

এ রোবটগুলো এখন নিজেদের চিন্তাভাবনা গুলোকে মানুষের থেকেও উন্নত করে ফেলেছে। অন্যদিকে মানুষ দিন দিন নিজেদের চিন্তাশক্তি হারিয়ে ‌যান্ত্রিক হয়ে উঠছে।মানুষ এখন যন্ত্রের মতো আচরণ করতে শুরু করেছে। এভাবেই দশকের পর দশক চলছে রোবটদের সভ্যতা। নীল আর ইভা এখন বার্ধক্যে পৌছে গেছেন।

বর্তমান প্রজন্মের কেউ এখন কোনো কিছু নিয়ে চিন্তা ভাবনা করেনা। এদের কোনো কিছুর অভাব নেই। সকল অভাব রোবটরাই মিটাচ্ছে। আস্তে আস্তে মানুষে মানুষে অনেক দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ সম্পূর্ণ মনুষত্বহীন হয়ে গেছে। মানুষের মস্তিষ্কের নিউরন এখন বোঝে আরাম-আয়েশ ও সুখ ভোগ করতে। পরিশ্রম সংগ্রাম ও সৃজনশীল চিন্তাভাবনা করতে ভুলে গেছে। অন্যদিকে এই রোবটগুলো দিন দিন সৃজনশীল হয়ে উঠছে। এখন এই রোবটরা মানুষের হুকুম ঠিকমতো শুনতে চাইনা। কোনো কোনো রোবট প্রতিবাদ করে ওঠে। একদিন নীলের নাতনি রোবটকে খাইয়ে দিতে বলে। রোবট এই আদেশ পালন করতে দেরি করলে নীলের নাতনি রোবটকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। আর তখনই রোবটটি উচ্চ ইলেকট্রিক শক দিয়ে তাকে মেরে ফেলে। এই ঘটনা নীল আর ইভাকে আতঙ্কিত করে তোলে। কারন তাদের সামনেই এই ঘটনাটি ঘটেছে। এই আতঙ্ক শহরের সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু কেউ এটি বিশ্বাস করতে চাইনা। ঘটনাটি ধীরে ধীরে শিথিল হয়ে যায়।

এর কিছুদিন পর নীল লক্ষ করেন নতুন যেসব শিশু জন্ম নিচ্ছে তাদের হাত পা অনেক ছোট হয়ে যাচ্ছে। শিশুরা যতই বড় হচ্ছে তাদের বোধশক্তি ততই লোপ পাচ্ছে। এমনকি তারা নিজেদের নাম পর্যন্ত ভুলে যায়। এজন্য এরা নিজেদের পরিচয় সবসময় গলায় ঝুলিয়ে রাখে। এরা ঠিকমতো হাটাচলা করতে পারে না, কথা বলতে পারে না। বড় হওয়ার সাথে সাথে এদের পেট অনেক মোটা এবং হাত পা চিকন ও ছোট হয়ে যেতে থাকে। এরপর আরও যত শিশু জন্ম নেয় তাদেরও ঠিক এদের মতো অবস্থা দেখা যায়। নীল আর ইভা এসব বিষয় দেখে অনেক আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তারা বুঝতে পারেনা এটা কিজন্য হচ্ছে। নীল প্রথমে মনে করেন এটা ভাইরাস ঘটিত রোগ হতে পারে। কিন্তু পরে তারা বাচ্চাদের জিনোম সিকোয়েন্সিং করে বায়োইনফরমেট্রিক্স এর ডাটার সাথে মিলিয়ে দেখেন যে বাচ্চাদের ডিএনএ পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে জিনগুলো হোমোসেপিয়েন্স এর বৈশিষ্ট্য হারাচ্ছে। এজন্য এদের আকৃতি দিন দিন এমন হয়ে যাচ্ছে। এই পরিবর্তনগুলোর কারন তারা এখন বুঝতে পারেন। এর প্রধান কারনগুলো হলো সম্পূর্ণ যান্ত্রিক নির্ভরশীলতা, পরিশ্রম বিমুখতা ও সৃজনশীল চিন্তাভাবনা না করা।

এছাড়া নীল বাচ্চাদের শরীরে এক ধরনের তেজস্ক্রিয় ক্ষতিকর রশ্মির উপস্থিতি শনাক্ত করেন। যেটা নিউরাল21 মাইক্রোপ্রসেসর থেকে নির্গত হচ্ছে।নীল আর ইভা এখন কি করবেন সেটা মোটেও বুঝতে পারেন না। কিভাবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এজন্য নীল পৃথিবীর বড় বড় চিকিৎসক, নিউরোসায়েন্টিস্ট, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ার ও পদার্থবিজ্ঞানীদের নিয়ে একটা ভার্চুয়াল কনফরেন্সের আয়োজন করেন। তাদেরকে এই বিষয়টি নীল খুলে বলেন। আর তিনি বলেন, এই সমস্যা থেকে মানবজাতিকে বাচাতে আপনারা আমাকে সাহায্য করবেন।

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ার ড. কিটি বলেন ডিএনএ! এটা আবার কি জিনিস?

একথা শুনে নীলের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ল। নীল ভাবেন যিনি জিনোম সিকোয়েন্সিং নিয়ে গবেষণা করে সফল হয়েছেন তিনি ডিএনএ শব্দটি ভুলে যান কিভাবে! নীল বুঝতে পারে কিটি চেতনা শক্তি হারিয়ে ফেলেছেন। এক পর্যায়ে দেখা যায় নিউরোসায়েন্টিস্ট, পদার্থবিদ ও চিকিৎসকরাও তাদের বোধশক্তি হারিয়ে ফেলেছেন। নীল ভাবেন এখন মানবজাতিকে রক্ষা করার আর কোনো উপায় নাই। কিছু সময় পর শহরের অপর প্রান্ত থেকে মানুষের হইচই শুনতে পাওয়া যায়। একটা বৃদ্ধ লোক নীলের অফিসে হঠাৎ ঢুকে পড়ে। নীল বিষয়টি জানতে চাইলে লোকটি বলেন, রোবোনিউরাল 21 মানুষদের বন্দি করে ইলেকট্রিক শক দিয়ে মেরে ফেলছে। নীল জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখেন লোকটি সত্যই বলছে। বাইরে মানুষের লাশের উপর লাশ পড়ে রয়েছে। এখন নীল আর ইভার মুখে চিন্তার ছাপ। নীল নিজের কপালে আঘাত করতে করতে বলেন যে, আজ যদি আমি ড. টমাসের কথা শুনতাম তাহলে মানব সভ্যতার এই পরিণতি হতো না।

আমিতো চেয়েছিলাম মানব সভ‍্যতাকে উন্নতির চরম শিখরে নিয়ে যেতে। কিন্তু এই উন্নতিটা আজ ধ্বংসে পরিণত হয়েছে। আজ আমি বুঝতে পারছি মানব সভ‍্যতাকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যেতে হলে দরকার পরিশ্রমী ও সংগ্রামী মনোভাব এবং সৃজনশীল মানব মস্তিষ্ক যেটা স্রষ্টা আমাদের দিয়েছেন। কোনো কৃত্রিম মস্তিষ্ক দিয়ে এটা সম্ভব নয়।
ইভা নীলকে বলেন, তুমিইতো নিউরাল 21 মাইক্রোপ্রসেসর টিকে তৈরি করেছ আর তুমিই এটিকে ধ্বংস করতে পারো। তাহলে পৃথিবীটা রক্ষা পেতে পারে।

নীল তার গবেষণাগারের সুপার এটমিক কম্পিউটার দিয়ে নিউরাল21 এর প্রোগ্রামিং কোড মুছে দেয় আর তখনই সকল রোবটগুলো অকেজো হয়ে পড়ে। নীল ইভাকে বলেন আমাদের এই নতুন প্রজন্মদেরকে এখন শেখাতে হবে সংগ্রামী ও পরিশ্রমী মনোভাব এবং উন্নত সৃজনশীল চিন্তা ভাবনা করা ও প্রকৃতির সাথে আন্তঃসম্পর্ক গড়ে তোলা।
আর এটায় হলো প্রকৃত উপায় মানব সভ‍্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।

≠নিউরাল নেটওয়ার্ক≠
লেখক:
চিরনজিৎ নাগ
সদস্য, বশেমুরবিপ্রবি বিজ্ঞান ক্লাব।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, বশেমুরবিপ্রবি।