E = mc^2;

আপেক্ষিকতার সূত্র। E=শক্তি, m=ভর, আর c=আলোর বেগ। এখান থেকে প্রমানিত হয় "শক্তি= ভর × বেগ^2 র" গুনফল। m স্থির থাকলে শক্তি বেগের সাথে পরিবর্তন হয়।
E=hf ;
f= কম্পাঙ্ক । এখানে E শক্তি এবং তা f এর সাথে পরিবর্তন হয়। কারন h সর্বদা ধ্রুব থাকে।

আমরা সবাই বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের সাথে পরিচিত । বিজ্ঞানের ভাষায় বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল কৃত অঞ্চলে কোন বস্তুর অবস্থানরত অবস্থায় তার অস্তিত্ব হারিয়ে যাওয়া বা বস্তু জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া বুঝায়।
উক্ত ঘটনা সাধারনত প্লেন বা জাহাজের জন্য দেখি । এখানে প্লেন গতিশীল হলেও জাহাজ সেই সাপেক্ষে এত গতিশীল নয়। তাহলে বলা যেত বেগ অধিক ফলে তা E=mc^2 মেনে তা শক্তিতে রুপান্তর হয়েছে।

তবে প্লেনের গতিও এত বেশি নয় যে, যার জন্য বলা সম্ভব এটি " E = mc^2 মেনে সম্পূর্ণ শক্তিতে রুপান্তর হচ্ছে। কেননা প্লেনের গতি আলোর বেগের তুলনায় নগন্য মাত্র।

যদিও প্লেন যখন গতিশীল হয় তখন এর বেগ পরিবর্তন এর জন্য E=mc^2 এই নীতি অনুসারে বেগের বৃদ্ধির জন্য কিছুটা হলেও শক্তিতে রুপান্তর হয় । কিন্তু এই বেগ এতটাও নয় যা অধিক বেগের জন্য অধিক শক্তি লাভ করে "(শক্তি) E=hf বা, E = hc/λ " এর ধারনা অনুসারে নির্দিষ্ট তরঙ্গ দৈর্ঘ্য অর্জন করে নিমিষেই অন্য স্থানে গমন করবে।

এজন্য বলা সম্ভব প্লেন যখন অদৃশ্য হয় বা বস্তু জগৎ থেকে অস্তিত্ব হারায় তখন এটি এমন একটি অঞ্চলে অবস্থান করে যেখানে অতি দ্রুত অধিক শক্তি অর্জন করা সম্ভব। যার ফলে এটি E=mc^2 এর ধারনায় একটি নির্দিষ্ট তরঙ্গ দৈর্ঘ্য ধারন করে আলোর বেগ প্রাপ্ত হয়ে নিমিষেই উক্ত স্থান ত্যাগ করে। এবং এর দিক হয় তরঙ্গদৈর্ঘ্য যেদিকে ধাবিত হয় এর দিকে। উক্ত প্রাপ্ত শক্তির উপর নির্ভর করে বস্তুটি পৃথিবীতে থাকতেও পারে আবার নাও থাকতে পারে।
আর এসব ঘটনার প্রমান পাওয়া যায় এদের ধ্বংসাবশেষ থেকে। কেননা এদের ধ্বংসাবশেষ যেখানে পাওয়া যায়, যা হারিয়ে যাওয়া স্থান থেকে অনেক দূরে। আর এটা একমাত্র সম্ভব হয়, একমাত্র শক্তি অর্জন করে প্রাপ্ত বেগের ফলেই।

[ আর এসব কারনেই বলা সম্ভব বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল হচ্ছে উচ্চ শক্তি সম্পূর্ণ অঞ্চল। যেখানে কোন বস্তুর অবস্থানে তা শক্তি অর্জন করে নির্দিষ্ট তরঙ্গে পরিনত হয়ে একটি নির্দিষ্ট দিকে নির্দিষ্ট বেগে ধাবিত হয় ]

বারমুডা_ট্রায়াঙ্গেল (ধারণা)
-------
মিজানুর রহমান মৃদুল
সদস্য,
বশেমুরবিপ্রবি বিজ্ঞান ক্লাব।
Department : CSE, BSMRSTU