আজ সন্ধ্যার আগেই খেলা ছেড়ে বাড়ি ফিরছে রকিব।মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে রঙের লুকোচুরির অজানা রহস্য।আগেরদিন গভীর রাতে হঠাৎ ই ঘুম ভেঙ্গে যায়।জানালা খুলে একদৃষ্টে তাকিয়ে দেখছে চারদিক।হঠাৎ ই চোখে পড়ল অদূরে জঙ্গলে তিন রঙ্গের আলোর বিচ্ছুরণ,চারপাশটা এতটা উজ্জ্বল যে তাকিয়ে থাকতে বেশ কষ্ট হচ্ছে।ঘড়িতে তখন কাটায় কাটায় ৩ টা বেজে ৩৩ মিনিট।ক্রমশ ও আলোর উজ্জ্বলতা কমছে।ভয়ে জানালা লাগিয়ে ফেলে রকিব।এ ব্যাপারে কাউকে কিছু জানাবে ভেবে রহস্য উদঘাটন এর ভূত মাথায় চেপে বসলে আর কাউকেই জানানো হয়না।

রকিব,সবেমাত্র ক্লাস সেভেনে পড়ে,কিন্তু বয়সের তুলনায় যথেষ্ট রহস্যপ্রেমী,দুরন্তপনার উস্তাদ। সে ইতোমধ্যে একটা সিক্রেট কিশোর ডিটেকটিভ সংঘের প্রধান।'লালু' কুকুরের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করেছিল, গ্রামের আক্কাস আলী নামক শয়তান বুড়োটা বিষ মিশিয়ে খাওয়ায়ে মেরে ফেলেছিল লালু কে।রকিব আর তার দলবল এ রহস্য খুঁজে পেতেই খুশিতে আত্নহারা।

যথারীতি খেয়ে পড়তে বসেছে রকিব।কিন্তু জোরে জোরে শব্দ করে পড়লেও পড়া যেন আজ মাথায় তালগোল পাকিয়ে ঘুরেই চলছে অবিরত।ঘুমাতে যাওয়ার আগে এলার্ম সেট করে নেয় রকিব।ধীরে ধীরে ঘনিয়ে আসছে সময়।হঠাৎ ই এলার্ম বেজে উঠে।ধীর পায়ে হেঁটে এসে জানালা খুলে দাঁড়িয়ে আছে।ক্রমশই পাশের জঙ্গলে শনশনে আওয়াজ আসছে।উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতায় ছেয়ে গেছে খানিকটা।হৃদপিণ্ডটা দ্রুত স্পন্দিত হচ্ছে তার।এডভেঞ্চারের নেশায় কিছু না ভেবেই বেরিয়ে পড়ে আলোটার দিকে।এ জঙ্গলে প্রায়ই বিষাক্ত সাপের দেখা মিলে।সাপের চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে সৃষ্টিকর্তার নাম জপ করতে করতে এগুতে থাকে।আবছায়ায় বড়সড় কোন বাহন মনে হচ্ছে।আরেকটু সামনে গিয়ে একটা গাছের আড়ালে লুকিয়ে পড়ে সে।যন্ত্রটি দেখতে অনেক অদ্ভুত।গোলাকৃতি তবে নিচের দিকটা চ্যাপ্টা,মাটির একটু উপরে শূন্যে ভাসছে।চ্যাপ্টা অংশ থেকেই উজ্জ্বল আলো আসছে। যদিও এখন নামমাত্র উজ্জ্বল,মিটিমিটি জ্বলছে।একি! এত বড় যন্ত্রে এত ছোট দু'টো পাখা। হেলিকপ্টার দেখেছে সে।সেবার গ্রামে কি একটা কাজে যেন হেলিকপ্টার এসেছিল।খুব বড় পাখা ছিল হেলিকপ্টারে।যখন পুনরায় উড়তে শুরু করল মনে হল ঝড় উঠছে কি বাতাস!কিন্তু এই যন্ত্রের পাখায় তো গরমে ঠিকমতো বাতাস ও পাবেনা।এই ভেবে একগাল হেসে নিল রকিব।খানিকটা ভেবে যন্ত্রটির নাম দিল লাইটোকপ্টার।হুটহাট কিছুর নতুন নাম দেওয়াটা যেন তার রক্তে মিশে গেছে।এসব ভাবতে ভাবতেই চোখে পড়ল লাইটোকপ্টার টির উপরের অংশটি খুলে যাচ্ছে।কৌতুহলী হয়ে আরেকটু সামনে আগাতেই গাছের শিকড়ে হোঁচট খেল সে।শব্দে পরক্ষণেই তীব্র আলোর ঝলকানিতে চোখ বন্ধ হয়ে এলো।চোখ মেলে দেখে চারিদিকে অন্ধকার লাইটোকপ্টারের কোন চিহ্নমাত্র নেই।নিজের উপর নিজের ই রাগ হলো রকিবের।একটু সাবধানতা অবলম্বন করলেই রহস্যের সমাধান খুজে পেত সে।তবে কি কালও দেখা মিলবে!।আগামী রাতের অপেক্ষায় বাসায় এসে ঘুমিয়ে পড়ে রকিব।

পরদিন সকালে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে ছুটে চলে রাতের সেই গন্তব্যে। কিন্তু বিধিবাম একরাশ হতাশা নিয়েই ফিরতে হল।কোন চিহ্নের ছিটেফোঁটাও নেই।তবে কি রাতে ভূল দেখেছে নাকি নিছকই কল্পনামাত্র!ভাবনায় ছেদ পড়ে ছোটকাকার ডাকে।আজ আর রক্ষে নেই ক্লাস ফাঁকি দিয়ে জঙ্গলে এসেছি।নির্ঘাত মার খেতে হবে আজকে।এখন স্কুলে দিয়ে আসবে স্যারের বেতের পিটনি সাথে বাড়ি ফিরলে আম্মার পিটনি।ভাবতেই গা শিউরে উঠছে রকিবের।

আজ রাতটা কোনভাবেই বিফলে দেওয়া যাবেনা।আগেরন্যায় আজ রাতেও লাইটোকপ্টার আসবে আশায় মধ্যরাতেই জঙ্গলে যাওয়ার মনোস্থির করে।সিক্রেট ডিটেকটিভ সংঘের প্রধান হিসাবে লাইটোকপ্টার এর রহস্য উদঘাটন করতে পারলে তার নামডাক সবার মুখে ছড়িয়ে পড়বে ভাবতেই গর্ববোধ হচ্ছে তার।যেই ভাবা সেই কাজ, মধ্যেরাতেই জঙ্গলে যাচ্ছে গুটি গুটি পায়ে।ব্যাঙ লাফিয়ে পাশ কাটাল,হঠাৎ এ শব্দেই ভয়ে গুটিসুটি।মধ্যরাতে একা গহীন জঙ্গলে ভাবতেও রক্ত হিম হয়ে যায়।প্রাণটা কোনমতে হাতে নিয়েই যেন এগিয়ে যাচ্ছে রকিব।হ্যাঁ এটাই সেই জায়গা।এখানেই লাইটোকপ্টারটি শূন্যে ভাসতেছিল।কাছাকাছি সুবিধামত গাছের আড়ালে লুকিয়ে পড়ল।উফ্ জঙ্গলে ঢুকার পর থেকেই ছোটবেলায় দাদীর শোনানো ভূতের গল্প মনে পড়ছে আর গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে।সঠিক সময়ের অপেক্ষা-,হঠাৎ ই শনশনে আওয়াজ,আলোর ঝলকানিতে চোখ বন্ধ হয়ে এলো।চোখ খুলেই দেখে সেদিনের মত লাইটোকপ্টার টি একই স্থানে।উত্তেজনায় কাপতে শুরু করছে শরীর।কিছুক্ষণ পর ঢাকনাসদৃশ খুলে কিছু একটা বের হচ্ছে।স্পষ্ট দেখা যাচ্ছেনা।একে একে ৩ টা প্রাণীর অবয়ম দৃশ্যমান হচ্ছে।একি এ কেমন প্রাণী!অনেকটা বাটম মাশরুমের ন্যায়।উপরের দিকটা গোলাকৃতি,নিচের চ্যাপ্টা অংশে আটটি আঙ্গুলযুক্ত পা সদৃশ কিছু একটা।সেই আট আঙ্গুলে পা দিয়েই খুব সতর্কভাবে চলছে কিন্তু সুবিধা করতে পারছেনা।আমাদের ভূপৃষ্ঠে এক পায়ে সুবিধা করবেই বা কিভাবে?দু'টো পা থাকলে অন্তত প্রতিক্রিয়া বলে হাঁটতে পারতো।এত সতর্কতার মধ্যেও যে ওদের নজরদারি করছি কিন্তু ওরা বুজতে পারছেনা।ভেবেই হাসি পাচ্ছিল রকিবের কিন্তু হাসতে মানা।একটু ভূল হলেই সব পণ্ড হয়ে যাবে।কিছু একটা খুঁজছে,বিচিত্র সব যন্ত্র দিয়ে কিসব পরীক্ষা চালাচ্ছে।পরীক্ষা করতে করতে একটা প্রাণী রকিবের খুব কাছাকাছি চলে এল।এদিকে ভয়ে দমফাটা অবস্থা রকিবের।যত কাছে আসছে প্রকোপ যেন বাড়ছেই।থমকে দাড়াল প্রাণীটি,হয়তোবা রকিবের উপস্থিতি বুজে ফেলেছে।আকষ্মিক রকিব নাভিতে প্রচণ্ড ঠান্ডা অনুভব করছে।চোখ বন্ধ হয়ে আসছে,হা পা যেন একদমই অবশ হয়ে যাচ্ছে,চিৎকার করার শক্তিটুকুও পাচ্ছেনা।পুরোপুরি জ্ঞান হারিয়ে স্তব্ধ হয়ে যাচ্ছে....!

জ্ঞান ফিরে চোখ মেলে তাকাতেই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে গেল রকিবের।কি সর্বনাশ!সেই অদ্ভুত প্রাণীগুলোর সাথে সে এলো কি করে?আকৃতি দেখে লাইটোকপ্টারের ভিতরের অংশ বলেই মনে হচ্ছে।তবে কি অদ্ভুত প্রাণীগুলোর সাথেই অজানায় পাড়ি দিচ্ছে,আর কি দেখা হবেনা কৌশিকদের সাথে,মাঠে খেলা হবেনা একসাথে?টুম্পার দেখাও মিলবেনা,আম্মা খুব কান্না করবে ভাবতেই টুপটুপ করে চোখ বেয়ে অশ্রু ঝড়তে শুরু করল। জ্ঞান ফিরতেই একটা প্রাণী এসে চোখে গগলস সহ কিসব যন্ত্র লাগিয়ে দিলো।স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছে "ভয় পেয়োনা,তুমি আমাদের সাথে আমাদের গ্রহে যাবে।আবার আমরা তোমাকে তোমার পৃথিবীতে ফিরিয়ে দিয়ে যাব"

"না আমি যাবনা।আমাকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে দিন",বলেই কেঁদে দিল রকিব।আবার শুনতে পেল" ভয় পেয়োনা আমাদের।আমরা তোমার ক্ষতি করবনা।অনেক আশ্চর্য জিনিস দেখবে এবং শিখবে পারবে,আমার পাশে এসো, মহাবিশ্বের অপরূপ দৃশ্য দেখবে পাবে"।বাধ্য হয়ে প্রধান প্রানীটার কাছে গেল সে।প্রাণীটা বলতে শুরু করল আমাদের বাস কেপলার-২২বি গ্রহতে।যা তোমাদের পৃথিবী থেকে ৬০০ আলোকবর্ষ দূরে।অদূরে যে গ্রহটা দেখতে পাচ্ছ সেটাই তোমাদের পৃথিবী।আমরা এখন মহাশূন্যে আছি।কেপলার-২২বি গ্রহ কি আমাদের সৌরজগতের নতুন কোন গ্রহ?জিজ্ঞেস করল রকিব।না,আমাদের রয়েছে ভিন্ন সৌরজগত। সেই সূর্যের চারদিকে প্রদক্ষিণ করতে কেপলার-২২ বি গ্রহের ২৯০ দিন সময় লাগে।পৃথিবী থেকেও ২.৪ গুন বড় আমাদের গ্রহ।তোমাদের পৃথিবীর সাথে আমাদের গ্রহের অনেক মিল আছে।গড় তাপমাত্রা ২২°সেলসিয়াস,আমাদের বেঁচে থাকতেও অক্সিজেন প্রয়োজন। সবকিছু মিলিয়ে পৃথিবীর উপর বহুবছর ধরে গবেষণা করে আজ আমরা সফল।আমাদের আরও দ্রুত যেতে হবে বলেই নিজের কাজে মন দিলো প্রানীটি।
"তবে কি এরাই সেই রুপকথার এলিয়েন।কিন্তু গল্পে এলিয়েনদের হিংস্র বর্ণনা করলেও এলিয়েনরা মোটেও হিংস্র নয়,অনেক বন্ধুসুলভ ও বটে"মনে মনে ভাবলো রকিব।মহাশূন্যের পুরোটাই অন্ধকার কিন্তু বিশেষ গগলসের দরুনে সবকিছু স্পষ্টই দেখা মিলছে।খুব কাছ থেকে নেপচুন গ্রহ দেখা যাচ্ছে যেন হাত বাড়িয়েই ছোঁয়া যাবে।কি এক অপুর্ব মহাবিশ্ব।
কিছুসময় পর এলিয়েনটি কাছে এসে আবার বলতে শুরু করল-দেখো অদূরে সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোল।একবার এর শোষণের কবলে পড়লে আমরা সহ বিলীন হয়ে যাব ব্ল্যাকহোলের মধ্যে।আমরা তোমাদের সৌরজগত ছেড়ে আমাদের গ্রহের খুব কাছাকাছি চলে এসেছি।সেখানে তুমি দ্বিতীয় পৃথিবী খুঁজে পাবে।

দেখতে দেখতে উচ্ছ্বসিত মনে লাইটোকপ্টার বন্ধ করে দিলো এলিয়েনরা।খুব সম্ভবত চলে এসেছি নতুন গন্তব্যে।উত্তেজনায় আর ভয়ের দোটানায় মন সায় দিচ্ছেনা কিছুতেই।প্রস্তুতি চলছে সাজসরঞ্জাম এ সজ্জিত করে নতুন গ্রহে প্রবেশের।নতুন গ্রহের জীব দেখতে মুখরিত কেপলার-২২বি গ্রহের এলিয়েনরা।লাইটোকপ্টার থেকে বের হতেই মূহুর্তের মধ্যে নানা রকম যন্ত্রপাতি সমন্বিত কক্ষে প্রবেশ করাল রকিবকে।হয়তোবা কোন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে তার উপর।

নতুন গ্রহের এলিয়েনদের চোখেমুখে সফলতার হাসি।পৃথিবী এবং কেপলার-২২বি গ্রহের উপাদান প্রায় একই।পরবর্তী মিশন পৃথিবী এবং কেপলার-২২বি গ্রহের যোগসূত্র স্থাপন।জ্ঞান-বিজ্ঞান প্রসারে এলিয়েনরা সর্বাধুনিক বলাই শ্রেয়। প্রযুক্তির দিক দিয়ে মানুষ যা কল্পনা করতে পারেনি অথচ এরা তা প্রয়োগ করে ফেলেছে।প্রথমবারের মত যন্ত্রসজ্জিত হয়ে উন্মুক্ত পরিবেশের স্বাদ পেল রকিব।চলাচলে সুবিধা হচ্ছেনা দু'পেয়ে মানুষ প্রতিক্রিয়া বলে দিব্যি হাঁটতে পারার কথা কিন্তু এখানে যেন প্রতিক্রিয়া বল নিছকই কল্পনামাত্র।উন্মুক্ত পরিবেশে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে ফিরিয়ে নিল সেই বদ্ধ কক্ষে।প্রধান এলিয়েন বিজ্ঞানী বলতে শুরু করল-"আজ আমরা সফল,তোমার পৃথিবীতে তোমাকে প্রেরনের জন্য প্রস্তুত। কৃতজ্ঞতাস্বরুপ ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ডিভাইস দিব যেটা ইলেকট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গের মাধ্যমে আমাদের কাছে যোগাযোগ সম্ভব করবে।আমাদের আবার দেখা হবে এটির কল্যাণে।"

বিদায় শেষে একটি নতুন যন্ত্রে ঢুকিয়ে দেওয়া হল তাকে।ধীরে ধীরে চোখ বন্ধ হয়ে এল।বোধশক্তি ফিরতেই নিজেকে আবিষ্কার করল জঙ্গলে।ভীষণ ভয় নিয়ে টিপটিপ পায়ে বাড়ির দিকে ফিরছে রকিব।একি! দরজা এখনো খোলাই আছে,জলন্ত মোমবাতি এখনও জ্বলছে,আধখাওয়া আমটাও টেবিলেই আছে।কিছু বুজে উঠতে পারছেনা।যা কিছু ঘটে গেছে তা কি নিছকই কল্পনামাত্র নাকি মতিভ্রম।ভাবনায় ছেদ পড়ে হাতে সেই ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ডিভাইসটা দেখে।এইতো সেই ডিভাইস যেটা এলিয়েনরা দিয়েছে।তবে কি সত্যি সত্যিই গিয়েছিল এলিয়েনদের গ্রহে।আবার টাইম-ট্রাভেল করে ফিরে এসেছে পৃথিবীতে। তবে কি এলিয়েন সত্যিই আছে মহাবিশ্বে যারা আমাদের থেকেও বুদ্ধিমান।হয়তোবা কেউ বিশ্বাস করবেনা রকিবের কথা,কেউবা পাগল বলতেও দ্বিধা করবেনা।তবে বিশ্বাস রাখি একদিন এ সত্য প্রকাশ পাবে।এলিয়েনদের সাথে একদিন আমাদের যোগসূত্র স্থাপন হবেই।হয়তোবা সেইদিন বেশি দূরে নয়।

≠এনাদার ওয়ার্ল্ড≠

লেখক :
আবুবকর সিদ্দিক
সদস্য,বশেমুরবিপ্রবি বিজ্ঞান ক্লাব।
বিভাগ: উদ্ভিদবিদ্যা, বশেমুরবিপ্রবি।